দুদকের করা মামলায় সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়া ট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. কামরুল হাসানকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়ার পর এ সুপারিশ করে সিএমপি।
বৃহস্পবিার (১১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া। সিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রো কোর্টের হাজতখানায় কাজের সময়ে আসামিদের মধ্যাহ্নভোজের বিলের ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা অপব্যবহার করায় সিএমপির অভ্যন্তরীণ তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়াও এডিসি কামরুল হাসানের পাশাপাশি তৎকালীন মেট্রোর হাজতখানার ইনচার্জ পরিদর্শক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। এডিসি কামরুল হাসান এখন সিএমপির পিওএম বিভাগে সংযুক্ত। এর আগে কামরুল হাসান মেট্রো কোর্টে সিএমপির এডিসি (প্রসিকিউশন) ও এডিসি (ক্রাইম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, গত সোমবার (৮ জুলাই) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ১১ কোটি চার লাখ ৩৫ হাজার ৯১৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সিএমপির একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত এডিসি কামরুল। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও ঢাকায় তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে দুদক।