যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে সাবেক এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডান কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে।এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য। রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন ট্রাম্প। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়। এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পেরেছিলাম, ভিন্ন কিছু একটা ঘটছে। আমি একটা ঘোরের আওয়াজ, এরপর গুলির শব্দ শুনতে পেলাম এবং সাথে সাথে একটি বুলেট আমার চামড়ার মধ্যে দিয়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে বলে বুঝতে পারলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে, পরে আমি বুঝতে পারি, (আমার সঙ্গে) কী ঘটছে।’
সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। একজন সমর্থকও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা অ্যাটর্নি রিচার্ড গোলডিঞ্জার। হামলার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের পাশাপাশি অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমি সমাবেশে নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি এবং গুরুতরভাবে আহত অন্য ব্যক্তির পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাতে চাই।’
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
এদিকে এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনাকে ‘অসুস্থ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
ট্রাম্পের প্রচার শিবির বলেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়।