রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আরো শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও র্যাব। আন্দোলনকারীরা হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষ্মী মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় ঢাকা–ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ মেডিক্যালের চিকিৎসক ডা. রুকনুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহত শিক্ষার্থীদের নাম এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা ও শনির আখড়া, বাড্ডা, রামপুরা, মিরপুর-১০, প্রগতি সরণি এলাকায় কোটা সংষ্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সরাতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, কোটা সংস্কারপন্থিরাও পুলিশ-ছাত্রলীগের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।