বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে’। মমতা ব্যনার্জির এই মন্তব্যে তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছে ঢাকা। এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে ভারত সরকারকে নোট দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদেরকে প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, ঘনিষ্ঠ ও উষ্ণ।
কিন্তু তাঁর বক্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট দিয়ে জানিয়েছি।’
এমনিতে মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মমতার মন্তব্যে একেবারেই খুশি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সেই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার কোনও এখতিয়ারই নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। মুখপাত্র আরো বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে সে বিষয়ে ভারত অবগত। ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার সুযোগ নিয়ে বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে মনগড়া কন্টেন্ট বানিয়ে গুজব ছড়ানোর অপতৎপরতা প্রতিরোধে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলো কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিটিভি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডাটা সেন্টার, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পদ্মাসেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা হয়েছে, পোড়ানো হয়েছে। এগুলো রাষ্ট্রের অর্থাৎ জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা। এসব ফুটেজ ও তথ্য আমরা বিদেশে আমাদের মিশনের মাধ্যমে সেখানকার কমিউনিটি ও সরকারকে জানানোর ব্যবস্থা নিয়েছি।