জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা গেছেন। শাফিন আহমেদের ভাই হামিন আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
হামিন আহমেদ বলেন, শাফিন যুক্তরাস্ট্রে টানা কনসার্ট করে যাচ্ছিল। গত রোববার ভার্জিনিয়াতে লাইভ কনসার্টে গান করার সময় মঞ্চেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। হার্টে পেসমেকার বসানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হার্টের পেসমেকার বিকল হয়ে যাওয়ায় জরুরিভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাফিন আহমেদ মারা যায়। আজ রাতে মরদেহ দেশে আনতে যুক্তরাষ্ট্রে রওনা দিবেন বলে জানান হামিন আহমেদ।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। মা কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সংগীতঙ্গ কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুল।
বাবার কাছে মাঝে মধ্যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখেছেন আর মার কাছে শিখেছেন নজরুলগীতি। এরপর বড় ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সংগীত শুরু করেন এবং মাইলস ব্যান্ড গড়ে তোলেন, যা পরে বাংলাদেশের অগ্রগামী ব্যান্ডদলসমূহের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি সেই সময় প্রচারিত বিটিভির নিয়মিত মাইলসকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।
শাফিন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও ও ফিরে এলেনা অন্যতম।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণে মাইলস ছাড়েন শাফিন আহমেদ এবং রিদম অব লাইফ নামে নতুন একটি ব্যান্ডদল প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি তাঁর বাবা কমল দাশগুপ্তের কিছু গান নিয়েও একক অ্যালবাম করেছিলেন। মাঝখানে কিছু দিন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেছেন।