যিশু-নীলাঞ্জনা অনেকের চোখেই আদর্শ দম্পতি। তবে যিশু-নীলাঞ্জনার ডিভোর্সের খবরে সোশাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে পোস্ট। মন ভেঙেছে ভক্ত অনুরাগীদের। ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নিজের নাম থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা।
তবে কুড়ি বছরের দাম্পত্য ভাঙার খবর নিয়ে কেন অভিনেতা নিশ্চুপ? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে অভিনেতা নিরুত্তর থাকলেও নীলাঞ্জনার কাছে যে এখন দুই মেয়েই সব, সেই ইঙ্গিতই মিলল তাঁর তরফে।
সোশাল মিডিয়ায় প্রোফাইলের নামেও সন্তানদেরই প্রাধান্য দিয়েছেন নীলাঞ্জনা। অ্যাকাউন্টের নাম- ‘নিনি চিনিস মাম্মা’। এদিন সেই নামের সঙ্গে চিরতরে শব্দটি জুড়ে দিয়ে একটি ট্যাটুর ছবি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক। অভিনব সেই ট্যাটুতে দেখা গেল তিনটি ‘টেডি বিয়ার’ একে-অপরকে শক্ত করে আঁকড়ে রেখেছে। যিশু বিচ্ছেদে সন্তানরাই যে এখন তাঁর সবটা, সেটা যেন এই ট্যাটু দিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দিলেন নীলাঞ্জনা। তাঁর সেই পোস্টই যেন ডিভোর্সের জল্পনার দিকে আরও বেশি করে ইঙ্গিত করল।
শুক্রবার এক পোস্ট দিয়ে অনেকটা একরকম ইঙ্গিত দিলেন নীলাঞ্জনা। ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি ভাগ করেছেন তিনি। ওই ছবিতে দেখা যায়, পেন্সিলে আঁকা তিনটি ভাল্লুক। দেখা যায়, তিনটি টেডি বিয়ার পরস্পরের হাত ধরে রয়েছে; মাঝখানে ভালোবাসার চিহ্ন। সেই ছবিতে দুই মেয়ে সারা ও জারাকে ট্যাগ করেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়েকে নিনি ও চিনি বলে সম্বোধন করে হাত ধরে রয়েছেন মা। কিন্তু তাদের মধ্যে যীশু নেই, এমনটিই অর্থ প্রকাশ করে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে যিশু সেনগুপ্তর জীবনের ‘নতুন নারী’র ছবি। গুঞ্জন অনুযায়ী, গুজরাটের কন্যা শিনাল সুর্তিই নাকি যিশুর মন কেড়েছেন। আর এই নারীর কারণেই নাকি যিশু-নীলাঞ্জনার দু দশকের সংসারে ভাঙন। যিশুর প্রেমের আগুন এতটাই তীব্র যে, মাস কয়েক ধরেই মুম্বইয়ে শিনালের সঙ্গে তিনি লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এখন অবশ্য ‘খাদান’ ছবির শুটিংয়ের জন্য নিজের শহরে থাকলেও নিজের বাড়িতে ওঠেননি অভিনেতা। স্বামীর এহেন সংসার বৈরাগ্য দেখেই সম্ভবত কঠিন সময়ে সন্তানদের আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরার বার্তা দিলেন নীলাঞ্জনা তাঁর ট্যাটুতে।