আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামীকালের (বুধবার) মধ্যেই সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় এটি করা হবে তা ঠিক করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালের মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার। আমি কিছুক্ষণ পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তখন হবে।
আন্দোলন চলমান রয়েছে, এর মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে পরবর্তী সময় সরকার আবার ঝামেলায় পড়বে কি না, এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, দেখেন এই যে নৃশংসতা, যেটি গত ১৬ জুলাই থেকে চালানো হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু জানিয়েছেন এ সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই….। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে, জামায়াত-বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের যারা জঙ্গি তারাই এটা করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেটা নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটা কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।