ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানের রাজধানী তেহরানে আজ বুধবার ভোরে এক গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। হামাস এই ঘটনার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে বুধবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন তাতে হামলা চালানো হলে হানিয়া এবং তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
আইআরজিসির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোকাহত। হামাস দাবি করেছে ‘তেহরানে তার বাসভবনে একটি বিশ্বাসঘাতক ইহুদি হামলায়’ হানিয়া নিহত হয়েছেন।
এর আগে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায় ফিলিস্তিনি ইসমাইল হানিয়ার পারিবারিক বাসস্থানে গতমাসের ২৫ জুন বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সেই হামলায় তার বোনসহ অন্তত ১০ জন নিহত হন।
এই বছর হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন ইসমাইল হানিয়া। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী হানিয়া গাজা, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং প্রবাসে হামাসের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি তুরস্ক ও কাতারে বিভিন্ন সময় থেকেছেন।
গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরের দিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের ছেলে, নাতি-নাতনিরা। এ সময় গাড়িটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়। এতে হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়া এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।