দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর পৌনে ২টার পর মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে এ সেবা সচল হয়। এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, বিকালেই ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক চালু হচ্ছে।
অবশেষে আজ বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশ থেকেও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবহার করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালুর পর থেকে অবশ্য ভিপিএন ব্যবহার করে একটি বড় সংখ্যক মানুষ ফেসবুক ও বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পেরেছেন। পুরো সময়টা ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ে জন্য সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম, সার্বিক বিবেচনা করে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আজকে থেকে আর কোনো বাধা রাখছি না। আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, আশা করছি আজ বিকেলের মধ্যে সবগুলো প্ল্যাটফর্ম চালু হয়ে যাবে।
এর আগে সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বুধবার বিকেল থেকে দেশে প্রচলিত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্যাশ সার্ভার খুলে দেওয়া হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন মিলনায়তনে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আজ সকালে মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরস্থ এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশন বিষয়ক যেকোনো অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।