ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকাশ্যে মারধরের হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সাহেদা বেগমের অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম।
গত বছরের ৬ নভেম্বর মুজিবুল হক প্রকাশ্য জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ‘অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় মুজিবুল হক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। মুজিবুল হকের এই বক্তব্যকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
সম্পদ আদেশ কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ থেকে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে আদালতের নির্দেশনাসংবলিত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২–এর উপসহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামি মুজিবুল হক চৌধুরীর ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯১ টাকা এবং তাঁর স্ত্রী সাহেদা বেগমের ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের দায়ের করা একটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি মুজিবুল জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর অর্জন করে ভোগ-দখলে রেখেছেন। এটি দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গত বছরের ৬ নভেম্বর মুজিবুল হক প্রকাশ্য জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ‘অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ চাম্বল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় মুজিবুল হক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন। মুজিবুল হকের এই বক্তব্যকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।