শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর দেশজুড়ে একদিকে যেমন চলছে উল্লাস, অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে।
হাসিনার পদত্যাগের পর ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই সড়কেই থাকতেন জলের গানের অন্যতম সদস্য শিল্পী রাহুল আনন্দ। সেসময় তার বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাড়িটি রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সেখানে বাদ্যযন্ত্র, আসবাবপত্র সবকিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন। রাহুল আনন্দের বাসায় হামলায় রীতিমত মর্মাহত সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। এক ফেসবুক পোষ্টে তিনি লিখেছেন, ‘এটি অনেক বড় একটি ক্ষতি। মেনে নিতে পারছি না। একেবারেই ভুল! আমরা আপনার সঙ্গে আছি রাহুল। আমরা দুঃখিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাহুলের বাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। তার অনেক বাদ্যযন্ত্র ছিল সেখানে। বিস্মিত হচ্ছি, খাল কেটে কোন কুমির আসবে!’ অর্ণবের পোস্টে নেটিজেনরাও দুঃখ প্রকাশ করেন। দেশের নতুন স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাহুলের বাড়িতে থাকা সহস্রাধিক যন্ত্র তছনছ হয়ে গেছে। রাহুল ও তার পরিবারের সদস্যরা কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বাড়িটি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তবে তাদের মন একেদম ভেঙে গেছে। আর এই সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন জলের গানের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম।
রাহুলের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তার অনুরাগীদের আগ্রহ ছিল আকাশছোঁয়া। তাদের অনেকেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন একটিবারের মত রাহুলের বাদ্যযন্ত্রগুলো দেখে আসার। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোও গেছেন তার বাড়িতে!