বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা ও শান্তির বাংলাদেশ গড়ে তুলি। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুননির্মাণ করতে হবে। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও শোষণহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার কিছু আগে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া একথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে খালেদা জিয়া বলেন, আবার আপনাদের সামনে কথা বলতে পেরে শুকরিয়া আদায় করছি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এ বিজয় বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উন্মুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের দ্বার। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করুন। ধর্ম, বর্ণের কারণে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে। মুলমান, হিন্দু ,খ্রিস্টান বৌদ্ধ যাই হোক না কেন তার নিরাপত্তায় ঢাল হয়ে দাঁড়ান। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। গণহত্যাকারী হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা চাকরিবিধি মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। পুলিশ কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করুন। কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। দেশবাসীর কাছে আহ্বান কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না, যোগ করেন তারেক রহমান।
নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য কোনো সমাধান না বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে আমদানি নির্ভর কিংবা বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বের করতে হবে। রপ্তানির আওতা যেকোনো মূল্যে বাড়াতে হবে। দক্ষ ও মেধাবী প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক রহমান।