শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্তর্বর্তীকালীন নতুন এই সরকারের শপথ গ্রহণের পরই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইতোমধ্যেই তাদের যোগাযোগ হয়েছে।
গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মিলার বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে। তিনি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান ম্যাথিউ মিলার।
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।
তিনি জানান, গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করা হবে। এ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে বলেও জানান বোরেল।
ড. ইউনূস বা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঠিক কী ধরনের যোগাযোগ হয়েছে জানতে চান এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, যোগাযোগ প্রকৃতি কেমন ছিল? আমি স্পেসিফিকেশন চাইছি না, কিন্তু এটা কি বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে নাকি মার্কিন স্বার্থের বিষয়ে কথা হয়েছে?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক কথোপকথনের কথা বিশদভাবে বলতে যাচ্ছি না, তবে স্পষ্টতই একটি বিষয় আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে– অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করবে এবং আমরা এটিই দেখতে চাই।