বহু ত্যাগ ও আনে বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের অবদানের মধ্য দিয়ে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারে কারা থাকছেন তা নিয়ে কৌতূহলের কোন শেষ ছিল না। উপদেষ্টাদের পরিচয় নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে জনমনে।
শপথ নেয়া উপদেষ্টারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির আ ফ ম খালিদ হাসান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ঢাকার বাইরে থাকায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা ও মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটের উপঅধিনায়ক ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক গতকাল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সব অপরাধের বিচার হবে। তিনি বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকি, সবার জন্য মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি, আমাদের বিজয় অবশ্যই হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
নবীন-প্রবীণে অন্তর্বর্তী সরকার, কার কী পরিচয় : নানা চড়াই-উতরাই ও ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ শাসন অবসানের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্ম। ২০২৪ সালে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের চাওয়ার ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। নতুন এ সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারে কারা থাকছেন তা নিয়ে গত দুদিন ধরে জনমনে কৌতূহলের শেষ ছিল না।
অবশেষে গতকাল তাদের নাম প্রকাশের পর তাদের পরিচয় নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয় জনমনে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ সামাজিক উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রবর্তনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ড. ইউনূস অর্ধশতাধিকেরও বেশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননাও।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদও। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনও উপদেষ্টা পদে শপথ নিয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষ মানবাধিকার প্রবক্তা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, বুদ্ধিজীবী ও লেখক। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রিকায় কলাম লেখেন। তাছাড়া ২০টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি। চাকরি ও নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পর তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে গবেষণার কাজ করছেন। একইসঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার কলামিস্ট।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। টিভি টক-শো ও সাহসী কলামের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তিনি দশটির বেশি গ্রন্থের রচয়িতা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আসিফ নজরুল বাংলাদেশি লেখক হুমায়ূন আহমেদের মেয়ে শীলা আহমেদকে বিয়ে করেন। তার সাবেক স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান আরিফ। তিনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করা মো. তৌহিদ হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক এ পররাষ্ট্র সচিব ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। তিনি পরিবেশ নিয়ে কাজ করা এনজিও বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অব আর্থ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী সদস্য; এনভায়রনমেন্টাল ল এলায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল কমিশন অব দ্য আইইউসিএনের সদস্য। তিনি তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বেশ কিছু খেতাব ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ, হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার পান। অধিকারভিত্তিক সংগঠন ব্রতী সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন শারমিন মুরশিদ। সংস্থাটি ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে আদিবাসী জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে। তিনি ড. ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য শপথ নিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টায় যুক্ত হয়েছেন ফারুক-ই-আজম। তিনি হলেন নৌকমান্ডো ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপঅধিনায়ক ছিলেন তিনি।
আদিলুর রহমান খান একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সম্মুখসারিতে ছিলেন তিনি।
নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন। ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলন কর্মী। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের মারাত্মক কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি এবং প্রতিকার আন্দোলনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সুপরিচিত ফরিদা আখতার। তিনি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বর্তমানে তিনি উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে নারী ও গাছ, কৈজুরী গ্রামের নারী ও গাছের কথা।
বিধান রঞ্জন রায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা। পেশায় তিনি একজন মনোচিকিৎসক। তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ও হাসপাতালে মনোচিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন একজন দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত। তিনি নতুন গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন। বিশ্ব মুসলিম লীগের মুখপাত্র দ্য ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড এবং সিরাত বিম্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টি। এছাড়া, তিনি চারটি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা। এছাড়া তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া নূরজাহান বেগম ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলনে সফল হন।
নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আরো যুক্ত হয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাবির ডাকসু ভবনের সামনে থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এ ছাত্র সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি)। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন। এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।