ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ করতে পরাজিতরা চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে তা প্রতিরোধে জনগনকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ সোমবার (১২ আগস্ট) বনানী কবরাস্থানে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি সবাইকে দেশে প্রতি বিপ্লবের যে আশঙ্কা আছে, সেই আশঙ্কা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য অত্যন্ত সজাগ থেকে, রাস্তায় থেকে তাদের (পতিত স্বৈরাচারের) যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে, সেই চক্রান্ত প্রতিরোধ করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন… জনগণের কাছে আমার এই হচ্ছে প্রত্যাশা।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “শেখ হাসিনা বলুন, অন্যান্যরাই বলুন সবাই এখন এটাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। জনগণের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই যে মুক্তি হয়েছে, এই যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে তাকে সুসংহত করার জন্য কাজ করুন।”
দ্রুত নির্বাচন দাবির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আশা প্রকাশ করছি, নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে। আমি অনুরোধ করব, অতি দ্রুত নির্বাচনের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করা এবং সমস্ত বিপদগুলোকে কাটিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন । নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।”
এসময় ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এসব ভ্যাক প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের এই গণজাগরণ এই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য, ব্যর্থ করার জন্য, নতুন গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য তারা এই মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্ব জনমত তারা কেউ এটাকে বিশ্বাস করবেন না ।”
এর আগে সকালে বনানী কবরাস্থানে সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী সমবেত হয়। ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয় কোকোর কবরে। ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট কোকোর জন্ম। ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরাফাত রহমান কোকোর ভূমিকার প্রশংসা করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সবাই জানি, কোকোকে অত্যাচারে-নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের বাইরে চলে যেতে হয়েছিলো ১/১১ সরকারের নির্যাতনের কারণে। বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”
পুষ্পস্তবক অর্পণের সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপিনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শামীমুর রহমান শামীম, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাইফুল ইসলাম নিরব, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।