বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, সন্ধ্যার দিকে একদল দুর্বৃত্ত লাঠি, রড, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে উপরে ওঠে এবং চতুর্থ তলার গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে ৪০ জন সাংবাদিক ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক জানান, বিএনপি-জামায়াতের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষ ভাঙচুর করে। তছনছ করে ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ নথিও। এ সময় দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ছিলেন মাদক, ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভূমিদস্যুরা।
হামলাকারীরা ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ, মিডিয়ারুম, মিটিং কক্ষ, হিসাব বিভাগ, রিসিপিশন এবং ভিআইপি লাউঞ্জে ভাংচুর চালায়। তারা ক্লাবের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজা বলেন, “দুর্বৃত্তরা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সাধারণ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক নির্মল চন্দ্র দাশ, হেলাল শিখদার, গোলাম মর্তুজা আলীসহ ২০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে আটক করা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হামলা চালায়। তারা অবৈধভাবে ক্লাবের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও হিসাবরক্ষকের ড্রয়ার ভেঙে নগদ টাকাসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতারা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অবহিত করেছেন।