এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ৩৭ বছর বয়সী মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোট দিয়েছেন থাইল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা। খবর এএফপির।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেউ থাই পার্টির সাধারণ সম্পাদক সারোওং থিয়েনথং দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা দেন। আগামীকাল শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হবে।
পায়েতংতার্নের বাবা ও ফুপু এর আগে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত হওয়ার ফলে তিনি হলেন দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ভোট প্রদান শুরু হয়। ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত একজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান করে দেওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার কারণে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত গত বুধবার শ্রেত্থা থাভিসিন সরকারকে বরখাস্ত করে।
গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ারও রায় দেন আদালত। এর পরদিনই আজ ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। থাইল্যান্ডের বর্তমান সরকার ১১ দলের জোটের সমন্বয়ে গঠিত। জোটটির সবচেয়ে বড় দল ফেউ থাই পার্টি।
স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করছেন। স্রেথাকে নিয়ে ফেউ থাই পার্টির তিনজন সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন।
স্রেথাকে পদচ্যুত করার এক সপ্তাহ আগে দেশটির প্রধান বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে (এমএফপি) বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজতান্ত্রিক দেশটির এই একই আদালত। তখন প্রগতিশীল দলটির সাবেক প্রধান পিটা লিমজারোয়েনরাতকেও রাজনীতি থেকে এক দশকের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
২০২২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পরিবারের হোটেল ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম পরিচিত মুখ। ওই নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। পিউ থাই পার্টি এরপর সরকার গঠনে সামরিক বাহিনী ঘেঁষা বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট তৈরি করে।