জাতীয়

ব্যস্ততা ফিরেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে

স্টেশনের বাইরে পার্কিং এরিয়াতে রিকশা ও সিএনজি চালকদের হাঁকডাক। আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারগুলোর সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের কিছুটা ভিড়। প্রবেশপথে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) নজরদারি। প্ল্যাটফর্মগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষা আর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুর স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ২৭ দিন ট্রেন বন্ধ থাকার পর গত ১৫ আগস্ট শুরু হয় আন্তনগর ট্রেন চলাচল।

স্টেশন ঘুরে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় পর ট্রেন চালু হওয়াতে যাত্রীরা অনেকটা খুশি। কারণ যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাসে ভ্রমণ করতে পারেন না। ভ্রমণের জন্য ট্রেন তাদের একমাত্র ভরসা।

ট্রেন চলাচল চালু হওয়াতে স্টেশন ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে যত ধরনের কর্মকাণ্ড ছিল তার সবকিছুই চালু হয়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে রেলওয়ে কর্মীদের মধ্যেও। পয়েন্টস থেকে শুরু করে কর্মকর্তা সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্টেশনে।

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রী সিয়াম আহমেদ বলেন, ট্রেন হচ্ছে নিরাপদ বাহন। যাত্রাপথে একটু বিলম্ব হলেও অনেকটা নিরাপদেই গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। মানুষ ট্রেন ভালোবাসে। ট্রেনের শিডিউলকে যদি নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে আনা যায় তবে দেশের অভ্যন্তরীণ শ্রেষ্ঠ বাহন হবে এটি।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাদিকুন নাহার  বলেন, আমি বাস জার্নি করতে পারি না। বাসে আমার নানা ধরনের অসুবিধা হয়। যাতায়াতে ট্রেনই আমার একমাত্র ভরসা।

একটি ট্রেনের লোকোমাস্টার হাফিজুল ইসলাম বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও আমাদেরকে নিয়মিত লোকো সেডে হাজিরা দিতে হয়েছে। শুরুর দিকে কয়েক দিন ভালো লেগেছে। তবে এক সপ্তাহ পরে একঘেয়েমি লেগে গেছে। কারণ ট্রেন নিয়ে নিয়মিত এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্য ছুটে চলা মানুষগুলো আসলে ঘরে বসে থাকতে পারে না।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লোকাল, কমিউটার ও আন্তনগরসহ মোট ১৮টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেন নিয়ম অনুযায়ী চলছে। এছাড়া কর্মব্যস্ততা ফিরেছে ঢাকা স্টেশনে।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button