নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হাসান স্বজন (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে
গতকাল শনিবার রাতে নিহতের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তার।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, শ্যালক ও বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, মেয়র আইভী রহমানের ভাই আলী রেজা উজ্জ্বলসহ নাসিকের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীরা। এ ছাড়া আরও ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী অনিক এজহারে অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ মন্ত্রীর নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকে। এ সময় নগরীরর মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা গুলিবর্ষণ করে। অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান সজনসহ অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান আবুল হাসান সজনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
মামলার বিষয়ে বাদী অনিক বলেন, ‘শনিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাতেই থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।’