বিনোদন

মানুষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি আমার ছেলেও: জয়

মোহনা অনলাইন

দেশের আলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় জানিয়েছেন,  আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নানাভাবে হেনস্তা ও অপমানের শিকার হচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে এক নেটিজেনের মন্তব্যের জবাবে অভিনেতার কণ্ঠে হতাশা, আক্ষেপের কথা শোনা যায়। যেখানে জয়কে ‘চাটুকার’, সুবিধাভোগী বলে আক্রমণ করেন ভক্তরা।

কি কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে- সেসব তুলে ধরেছেন এই অভিনেতা।

জয় জানান, ইন্টারভিউ’র সুবাদে অনেকের সঙ্গে ছবি রয়েছে। যেসব কারণে বর্তমানে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাকে। শুধু অভিনেতাই নন, মানুষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি তার ছেলেও।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে একজন নেটিজেনের মন্তব্যের জবাবে জয় বলেন, ভাই আমি অনেকগুলো পোস্ট করেছি। কয়েকটি পোস্ট করার পরে আমাকে যখন হুমকি দেয় তখন ভয়ে ডিলিট করে ফেলি। আমার প্রোফাইলে গিয়ে দেখেন ৩ তারিখে শহীদ মিনারের ভিডিও শেয়ার করেছি। তখন কিন্তু সরকার পতন হয় নাই।

এরপর জয় আরও লেখেন, ‘আমি বিনোদন জগত নিয়ে কাজ করি। উপস্থাপনা করি, মাঝে মাঝে অভিনয় করি। তবে ব্যস্ত অভিনেতাদের মতো কাজ নেই। আমি চ্যানেল আইয়ের সাথে জড়িত উপস্থাপনাতে। আমাকে না বুঝে গণহারে অপমান করাটা অবিচার বলে মনে আমার কাছে।’

শুধু নিজেই নন, হেনস্তার শিকার হচ্ছেন পরিবারের সদস্যেরাও। এমনটা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘সেদিন আমার ছেলে বিয়ে বাড়িতে গেছে। সবাই তাকে অপমান করেছে এই বলে, তোমার বাপ এখনো দেশ ছেড়ে পালায় যায়নি?’

জয় বলেন, ‘আমি এই কথার কোন মানে বুঝিনি। আমি রাজনৈতিক দলের সাথে কোনভাবে জড়িত না। ইন্টারভিউ সুবাদে আমার সবার সঙ্গে ছবি আছে এবং চেনা-জানা ছিল। তাই বলে কথা বলতে কাউকে ছাড়তাম না।’

এরপর আক্ষেপ প্রকাশ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘যে অনেক পাপ করেছে এবং যে নীরবতা পালন করেছে দুজনকেই এক ক্যাটাগরিতে ফেলে দিচ্ছেন। ফেসবুকে অপমান করছেন। যা তা ভাষা ব্যবহার করছেন। দেশটা কী শুধু আপনাদের? আপনারাই থাকবেন। তাহলে আমাদেরকে মেরে ফেলেন। পিটিয়ে মেরে ফেলেন। কঠিন শাস্তি দেন। অপমান কইরেন না ভাই। এটা কোনো ভাষা হতে পারে না। নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করেন। আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করছি কারণ এই আন্দোলনে আপনার ভূমিকা আমার চেয়ে অনেক গুণ। তাই বলে এভাবে অপমান করবেন?’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button