বন্যার্তদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবীর সেনাসদস্যদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে । আজ শুক্রবার গণম্যাধমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, সাম্প্রতিক ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে চলমান ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবতার সেবায় এ অর্থ দেওয়া হয়।
এছাড়াও শুক্রবার আরও কিছু প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ); সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলায় এখন পর্যন্ত দুই নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, ফেনীতে ১, চট্টগ্রামে ২, নোয়াখালীতে ১, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানান, দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানি বন্দি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার। বন্যাক্রান্ত জেলাগুলো হলো— ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি।
বন্যা পরিস্থিতি ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, “এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।”
উদ্ধার কাজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, রবার স্কাউট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ সাধারণ মানুষ উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।