অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কুমিল্লা-নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তার দেওয়া আটটি দিকনির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো-
১. জেলাগুলোতে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা ও নগদ অর্থ সহায়তা পর্যাপ্ত নয়, বাড়াতে হবে।
২. বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
৩. দুর্যোগ পরবর্তী পানি বাহিত রোগ-ব্যাধি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
৪. প্রান্তিক এলাকায় ত্রাণের সমবন্টণ নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা থেকে যারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন।
৫. নোয়াখালীতে বন্যার পানি আসেনি, বৃষ্টির পানি জমে আছে তাই এখানে উদ্ধারের চাইতে বেশি প্রয়োজন ত্রাণ ও অন্যান্য লজিস্টিকস।
৬. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অঞ্চলে পানি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে তবে বুরিচং এবং আশপাশের এলাকার অবস্থা দুর্বিষহ।
৭. শিশু খাদ্য, গোখাদ্য সরবরাহ নেই বললেই চলে। এদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
৮. অসাধু ব্যাবসায়ীদের তৎপরতা বাড়ছে, সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। প্রশাসন ও ছাত্র-জনতার সমন্বিত প্রয়াসে এই দৌড়াত্ম রুখতে হবে।
এছাড়া যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের মানুষকে এক থাকারও আহ্বান জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন, সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী এবং সাধারণ জনগণসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি।