মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাভেল দুরভকে প্যারিসের একটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসের উত্তরে একটি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ফরাসি পুলিশ টেলিগ্রামের সিইওকে প্যারিসের উত্তরে একটি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রাইভেট জেট লে বোর্গেট বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করে ফরাসি পুলিশ।
৩৯ বছর বয়সী দুরভের বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম সংক্রান্ত একটি মামলায় পরোয়ানা ছিল। সেই পরোয়ানাতেই তাকে গ্রেপ্তার করার কথা বলেছেন ফ্রান্সের কর্মকর্তারা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাস বলছে, প্যারিসে কী ঘটেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে ফ্রান্সে রাশিয়ার দূতাবাস।
ফান্সের টিএফওয়ান টিভির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দুরভ তার ব্যক্তিগত জেটে চেপে প্যারিসে পৌঁছান। রাশিয়া, ইউক্রেইন এবং এক সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে টেলিগ্রাম তুমুল জনপ্রিয়।
দুরভ তথ্য হস্তান্তরে সম্মত না হওয়ায় ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ২০২১ সালে আবার সেটি খুলে দেওয়া হয়।
বিবিসি লিখেছে, শীর্ষ সোশাল মিডিয়ার মধ্যে ফেইসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং উইচ্যাটের পরই টেলিগ্রামের অবস্থান। ২০১৩ সালে টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করার পরের বছরই রাশিয়া ত্যাগ করেন দুরভ। তার আরেক সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভিকন্টাক্টে থেকে বিরোধী কমিউনিটি বন্ধ করার সরকারি প্রস্তাবে সায় না দেওয়ার পর তিনি দেশ ছেড়েছিলেন।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে টেলিগ্রাম অপরিশোধিত ও বিভ্রান্তিকর আধেয় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যুদ্ধরত দুটি পক্ষের কাছেই খবরের প্রধান উৎস হয়ে ওঠে।
কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, টেলিগ্রাম প্লাটফর্ম ইউক্রেনে চলতে থাকা যুদ্ধের জন্য একটি ‘ভার্চুয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়। টেলিগ্রাম খুব বেশি ব্যবহার করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জলেনস্কি ও তার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি রাশিয়ার সরকারও এটি ব্যবহার করে থাকে।