দুই দশকেরও বেশি সময় পর এবার রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগারদের গর্জন! ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। সাকিব-মিরাজদের ঘূর্ণিতে অবিশ্বাস্য এক জয় পেল সফরকারীরা। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডিতে পঞ্চম দিনে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। তবে, স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি তারা। পাকিস্তান ১৪৬ রানে থামলে জয়ের জন্য ৩০ রানের সহজ লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। যা মাত্র ৬.৩ ওভারেই তুলে ফেলেন ব্যাটাররা। ৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে শুরু করে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
এর আগে, পঞ্চম দিনের শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। রিভিউ নিয়ে শান মাসুদকে ফেরায় বাংলাদেশ। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাসুদ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। হাসান জোরালো আবেদন করলেও প্রথমে আম্পায়ার সাড়া দেননি। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আল্ট্রাএজে মেলে ব্যাটের কানা স্পর্শের প্রমাণ। ফিরে যান পাকিস্তান অধিনায়ক। ৩৭ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন মাসুদ।
এরপর দুইবার ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়া বাবর আজমকে ফেরান পেসার নাহিদ রানা। বাবর আজমকে ফেরানোর পর আরেক উইকেট হারায় পাকিস্তান। শূন্য রানে সৌদ শাকিলকে ফেরান সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন শাকিল। চার বল খেললেও তিনি খুলতে পারেননি রানের খাতা। শাকিলের পর সাকিবের শিকারে পরিণত হন আবদুল্লাহ শফিক। ঝুলিয়ে দেওয়া বল উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন শফিক। ব্যাটে লেগে বল উঠে যায় আকাশে। দৌড়ে সহজ ক্যাচ নেন সাদমান ইসলাম। পাকিস্তান হারায় তাদের পঞ্চম উইকেট। যার ফলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান।
এর আগে পাকিস্তানের ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৫৬৫ রানের। ১১৭ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান।