আমি কি আসামী নাকি? স্বৈরাচারী হাছিনা সরকার আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমি হাছিনার মিথ্যা মামলা আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে পারবো না, আপনি যদি জামিন দেন তাহলে আমাকে এভাবেই দিতে হব।।।।।।
২৮ শে অক্টোবর ৭টি মিথ্যা মামলার হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী আজ মহামান্য আদালতে স্হায়ী জামিন শুনানি কালে ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদুল মিরাজকে এজলাসের আসামীর কাঠগড়ায় প্রবেশ করতে বললে। সাজ্জাদুল মিরাজ সবার সামনে বিচারক তাসলিম আরিফকে বলেন, ” আমি কি আসামী নাকি? স্বৈরাচারী হাছিনা সরকার আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমি হাছিনার মিথ্যা মামলা আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে পারবো না ।
ঐ সময় পরিবেশ শান্ত করার জন্য সাজ্জাদুল মিরাজকে কাঠগড়া বাহিরে থাকা অবস্থাই জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে রমনা থানাধীন মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ করে। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে পুলিশের ওপর ইট পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে।
এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট পাটকেল, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, ২টি শর্টগান, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। সে মামলায় গত ১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে সাজ্জাদুল মিরাজকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।