বন্যা পরিস্থিতির কারণে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা বেশকিছু ট্রেন আজ থেকে পরিচালনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বন্যা পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ফেনী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী ও পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, ফেনী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে ডাউন লাইনটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ফেনী অভিমুখে আপ লাইনটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল (১/২), কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৩/৪), মহানগর গোধূলী/প্রভাতী (৭০৩/৭০৪), তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০২) ও কক্সবাজার-ঢাকা রুটের পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫)।
চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯), সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪) এবং চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটের সাগরিকা এক্সপ্রেস (২৯/৩০)।
এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন এবং কন্টেইনার ট্রেন চলাচল করবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে দুটি লাইন আছে। স্রোতে একটি লাইন (চট্টগ্রাম-ঢাকা) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যটি (ঢাকা-চট্টগ্রাম) তুলনামূলক কম। এটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুর রুটে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ রুটেও লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।