স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামী বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালানো হবে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে থানায় সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তবে সে সংখ্যাটাও খুবই নগণ্য। এর ফলশ্রুতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেয়।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, সারাদেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০। এরমধ্যে ব্যক্তিগত অস্ত্র ৪৫ হাজার ২২৬টি। এগুলোর মধ্যে পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, রিভলবার ২ হাজার ৪৩টি, একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, দোনলা বন্দুক ১০ হাজার ৭১৯টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি, রাইফেল ১ হাজার ৭০৬টি এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪ হাজার ৬টি। বাকি অস্ত্রগুলো বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স করা।
প্রাপ্ত হিসাব বলছে, এসব অস্ত্রের মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিবিদদের কাছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীর কাছে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় আগামী বুধবার থেকে এই যৌথ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রমসহ নিয়মিত টহল ও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে বলেও একাধিকবার জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।