ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলে যাচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পেশির টানে ভুগতে থাকা সত্ত্বেও টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭১ বল স্পর্শ করে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি।
২৬ রানে দলের ৫ উইকেট পতনের পর ক্রিজে এসেছিলেন লিটন। দলের সামনে তখন নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ভয়। সেখান থেকে লিটন খেললেন দারুণ এক ইনিংস। প্রথমে মিরাজকে নিয়ে দলের ওপর থাকা চাপ দূর করেছেন। পার করেছেন ফলো-অন। এরপর দলের স্কোরকে দিয়েছেন সম্মানজনক অবস্থান। লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। ৭৮ রান করে ফিরে গেলেও দলকে দেখিয়েছেন পথ। লিটন মাঝে ক্র্যাম্পে পড়লেও ঠিকই উঠে দাঁড়িয়ে খেলেছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কক্ষপথে আছে তার ওই দারুণ শতকের সুবাদেই।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করেছে বাংলাদেশ। লিটনকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে হাসান মাহমুদ অপরাজিত আছেন ২ রানে। এদিনের সেঞ্চুরিতে এক ভিন্ন রকমের রেকর্ডেও নাম উঠেছে লিটনের। ৫০ রানের আগে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। এমন কীর্তি নেই আর কারোরই। ৎ
এছাড়া মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটিতে বিশ্বরেকর্ডও করেছেন লিটন কুমার দাস। এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।