যুগপৎ আন্দোলনে গড়ে ওঠা ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। সংলাপের প্রথম দিনে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি ও ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে দলটি। খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বিভিন্ন শিল্প খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য কুচক্রী মহলের অপচেষ্টাসহ বিভিন্ন বিষয় এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
আমীর খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ হলো। যুগপৎ আন্দোলনে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, আমরা তা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই।’
আমীর খসরু আরও বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, পোশাক কারখানা, ওষুধের কারখানাসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা এসব করে দেশ ও দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দেশ যাতে স্থিতিশীল থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
বিএনপিনেতা আমীর খসরু বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে তারা সবাই একযোগে কাজ করছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করছেন।
রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপিনেতা আমীর খসরু বলেন, ‘এই ৩১ দফা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব। কারণ মানুষ এই সংস্কার চায়।’
বৈঠক শেষে গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার ঐক্য সমুন্নত রাখতে চাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সমুন্নত রেখে যেকোনো মূল্যে ২০২৪ সালের বিজয়কে এগিয়ে নিতে চাই।’
বৈঠকে গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এবং ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে আমীর খসরুর পাশাপাশি বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।