বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেন্নাইগামী একটি ফ্লাইটে এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৬ হাজার ৮০০ ইউরো চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিমানের ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশে দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। তারা পাঁচজনই এ ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। চুরি যাওয়া ৬৮০০ ইউরোর মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, ওই যাত্রী ২ সেপ্টেম্বর বিমানের বিজি-৩৬৩ ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চেন্নাই যান। লাগেজে থাকা ইউরো না পেয়ে বিমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে বিমান।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম জানান, চেন্নাই পৌঁছে এক যাত্রী তার চেকড লাগেজে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিমানের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিষয়টির ওপর প্রাথমিক তদন্ত করে ঢাকা স্টেশনে সেদিন কর্মরত ছয়জন ট্রাফিক হেলপারকে চিহ্নিত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ সব ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়। অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। একজন পালিয়ে যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে চুরি করা অর্থ দ্রুত উদ্ধার করে যাত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে।
বোসরা ইসলাম বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যের কুশীলবদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দোষী সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এক বার্তায় যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিমান জানায়, আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের চেকড ব্যাগেজে মূল্যবান সামগ্রী, টাকা-পয়সা ও অলংকারাদি পরিবহনে নিরুৎসাহিত করে। এসব সামগ্রী হ্যান্ড ব্যাগেজে বহনের জন্য অনুরোধ জানায় তারা।