ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের ঘটনায় মার্কিন ও চীনের প্রভাবের কথা সামনে এসেছে। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
এমন অবস্থায় হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে ভূমিকা রাখা গণআন্দোলন ও বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান বেদান্ত প্যাটেল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত ও আগ্রহী।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভে চীনের প্রভাব ছিল এমন দাবির প্রসঙ্গে জানতে চান একজন সাংবাদিক। উত্তরে মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি এসব বিষয়ে জল্পনা করতে চান না।
ওই সাংবাদিক আবারও বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কথা বলছে। এমন কোনো প্রতিবেদন দেখেননি উল্লেখ করে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, এগুলো সত্য নয়। এ কারণেই আমি এগুলো দেখিনি।’