ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ ও হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রিমান্ড শুনানির জন্য তাদের সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মোহাম্মদপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল সাবেক পুলিশ প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। তখন পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় গুলিতে মো. সুজন নামে এক ট্রাকচালক নিহতের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে ইনুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৭ আগস্ট অন্যদিকে রাজধানীর আদাবর থানায় করা গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২২ আগস্ট গ্রেফতার হন রাশেদ খান মেনন। ওই মামলায় ২৩ আগস্ট তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আদাবর থানায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় মেননকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একাধিক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এদিন সকালে রিমান্ড শেষে আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হলে এ আদেশ দেন আদালত। এছাড়া, খিলগাঁও থানার আশিকুর রহমান হত্যা মামলা ও ভাটারা থানার হত্যা মামলায়ও সাবেক আইজিপিকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
একইসঙ্গে, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফীকে আদালতে তোলা হলে সাভার থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশ কাফির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।