বাংলাদেশের উন্নয়নে অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানিয়েছেন ইউএসএইডের প্রতিনিধি অঞ্জলি কর।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
উএসএইডের প্রতিনিধি অঞ্জলি কর বলেন, এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভূক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। এর মানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা। আমরা স্বাস্থ্য, শাষন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ এখানে মূল অগ্রাধিকার। আমি ড. ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা সামনে একসঙ্গে আরও কাজ করার প্রত্যাশা করছি।
তিনি জানান, এটি কোনো অ্যামেন্ডমেন্ট নয়, এটি নতুন চুক্তি। এটি ২০২৩ অর্থবছরের জন্য। সুতরাং এটি নতুন অর্থায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউএসএআইডির সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট (ডিওএজি)-এর ষষ্ঠ সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ. কে. এম শাহাবুদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রিড জে. এশলিম্যান, মিশন পরিচালক, ইউএসএআইডি সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেন।