আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ বছর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘গভর্নেন্স ও সিটিজেন এনগেজমেন্ট ফর এআই নেভিগেট’, তথা সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার।
গণতন্ত্র হল এমন একটি ধারণা যা আমাদেরকে একটি মুক্ত, ন্যায্য এবং আদর্শ সমাজ গঠন করতে দেয় যেখানে একটি নিরাপদ এবং সুখী স্থান গঠন করে প্রত্যেকে সমান হিসাবে বিবেচিত হতে এবং একে অপরের সাথে একত্রিত হয়ে বসবাস করতে চায়। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের একটি অনুশীলন, গণতন্ত্রের ধারণা এবং এর প্রকৃত মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে বিকশিত এবং পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশ্বে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার সাথে সাথে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের গুরুত্ব বোঝা যায় এবং এ কারণেই আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়।
দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার চর্চার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, আইন, শাসন ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। তেমন সমাজই স্বাধীনতার কাণ্ডারি। এমন সমাজ টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট।’
জাতিসংঘের মতে, গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরির ক্ষেত্রে সব নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন।