স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরতে শুরু করেছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্তের পর বুধবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। তবে আজও ১৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, জিরাবো, ঘোষবাগ এলাকা ঘুরে পোশাক কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিতে দেখা যায় পোশাক শ্রমিকদের।
এদিকে জিরাবো এলাকার অনন্ত, নরসিংহপুর এলাকার জেনারেশন ও জামগড়ার ডেকো গার্মেন্টস ৫টি কারখানায় আর্থিক সমস্যা ও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কর্মবিরতি করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নরসিংহপুর এলাকার নিট এশিয়া কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। তারা কারখানার মালিকের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে সরাসরি আশ্বস্ত হওয়া দাবির জানিয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আলম মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। ৪-৫টি কারখানায় শ্রমিক ছাটাই ও বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গতকাল বিজিএমইএ’তে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওইসব কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিষয়গুলো সুন্দরভাবে অবহিত করার পাশাপাশি দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও বন্ধ থাকা কারখানাগুলো চালু করার দাবি জানান।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, গতকাল শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নেওয়ার পর আজ সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। তবে ১৪টি কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ও ৫টি কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা কর্মবিরতী করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও যে কোন অপ্রিতীকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।