অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই। চীনকে বাংলাদেশের জনগণের ‘পুরোনো বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চীনের অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ এবং ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী দেশটি। অন্যদিকে, চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে। তিনি অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা চাইনিজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করতে পছন্দ করব। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য চীনা সোলার প্যানেল নির্মাতাদের ড. ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে। গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শূন্য শুল্ক প্রবেশাধিকার দেওয়ার চীনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, চাইনিজ রেড ক্রস জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত ছাত্র ও মানুষদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে। ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের এমন অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার জন্য “আশ্চর্যজনক” চীনা প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীনা সৌর কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে। অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান তিনি।