আজ শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে তিনি এ ভাষণ দেবেন।
ধারনা করা হচ্ছে কি পরিস্থিতিতে তিনি সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং পরিবর্তিত সময়ে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম, রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তাঁর ভাষণে স্থান পাবে।
ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ গঠনে তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরবেন ভাষণে। বাংলাদেশের এই গণঅভ্যুত্থান সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে এমন বক্তব্যও দিতে পারেন। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেটিরও বর্ণনা দেবেন।
এ ছাড়া, ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক-আঞ্চলিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তার ভাষণে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন সেটি একটি যুগান্তকারী ভাষণ হবে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। তিনি জানান, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বাংলায় ভাষণ দেবেন।
এ বছরের ইউএনজিএর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা।