লাক্সতারকা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। দীর্ঘদিন পর এই তারকা বিগস্ক্রিনে আসছেন। তবে এবারই প্রথম পরিচালক হয়ে ফিরছেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শরতের জবা’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ অক্টোবর। সিনেপ্লেক্স, এবং ব্লকবাস্টার এ সিনেমাটির মুক্তির কথা রয়েছে। পরবর্তীতে আই স্ত্রিনেও মুক্তি পাবে।
তার নিজের লেখা গল্পের বই ‘অজাগতিক ছায়া’ থেকে বানিয়েছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘শরতের জবা’। সেখানে দেখা যাবে অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মূল চরিত্র। এই সিনেমার গল্প যেমন কুসুমের, নির্মাতা ও কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনয়শিল্পীও তিনি।
গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চ্যানেল আইয়ের ছাদবারান্দায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছবিটির মুক্তির ঘোষণা দেন কুসুম। জানান অভিনয় থেকে দীর্ঘ সময় কেন তিনি দূরে ছিলেন।
কুসুম বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর আমি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। শেষ কাজ করেছি ২০১৮ সালে। আমাকে অনেকবারই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে যে, আমি কেন কাজ করছি না? আজকে শরতের জবা’র মাধ্যমেই বলতে চাই, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমি নিজেকে স্বেচ্ছায় অভিনয় থেকে দূরে রেখেছিলাম। কিন্তু পরিবারের সহযোগিতায় সৃষ্টিকর্তার রহমতে আজকে শরতের জবা নিয়ে আসতে পারছি আপনাদের কাছে।’
কুসুমের সর্বশেষ কাজ ছিল ২০১৮ সালে হানিফ সংকেত পরিচালিত নাটক ‘শেষ অশেষের গল্প’। এতে ময়না চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
‘শরতের জবা’ টিমের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিনেমার নায়িকা চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রী কুসুম সিকদার বলেন, ‘শরতের জবা’ সিনেমা শুধু আমার কৃতিত্ব এটা বলা ভুল হবে। এটা একটা টিম ওয়ার্ক। আমি এ সিনেমার চিত্রনাট্য করার পর থেকে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, শূটিং বা পোস্ট প্রডাকশন যাই হোক না কেন, এদের সবার সাহায্য ছাড়া এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না।
নিদ্রা দে নেহা বলেন, ‘শরতের জবা’ নিয়ে প্রথমেই আমার কাছে এক্সাইটেড লেগেছে এর নাম শুনে। এতে বেলি চরিত্রের জন্য আমাকে খোঁজা হচ্ছে এটাও আমার জন্য বড় পাওয়া। কুসুম দিদির সঙ্গে আমার শূটিংয়ে যখন কথা হয় উনি বলেছিলেন, আমার আগে ৬০ জন মেয়ের অডিশন নিয়ে পরে আমাকে সিলেক্ট করেছেন। এ সিনেমার ক্যরেক্টারটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আমার অপজিশনে জিতু ভাই।
ওনার মতো একজন সিনিয়র আর্টিস্টকে আমি অপজিশনে পাব এটা আমার জন্য বড় একটা অ্যাসিভমেন্ট। আর কুসুম দির কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে ওনার জন্য আমার বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। উনার কাছে আমি অনেক প্রেরণা পেয়েছি। আশা করছি সিনেমাটা সবার ভালো লাগবে। সবাইকে ‘শরতের জবা’ দেখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
কুসুম সিকদার ছাড়াও চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নিদ্রা দে নেহা, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু। এটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স। একজন একাকী নারীর রহস্যময় জীবনের গল্প ‘শরতের জবা’।
অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।জবা কি আসলেই খুনি! নাকি অদৃশ্য কোন শক্তি রয়েছে তার সঙ্গে। এমন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গল্পে কুসুম সিকদারের চিত্রনাট্যে নির্মিত হয়েছে ‘শরতের জবা’।