এ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী বুধবার। স্পেস ডটকম জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণের দিন চাঁদ তুলনামূলক ছোট দেখাবে। এর ফলে সূর্যের আলো ঢেকে যাবে এবং তৈরি হবে ‘রিং অব ফায়ার’।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ২ অক্টোবর ভারতীয় সময় রাত ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে এবং শেষ হবে পরের দিন বিকেল ৩টা ১৭ মিনিটের দিকে। বিরল এই সূর্যগ্রহণটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিলি এবং দক্ষিণ আর্জেন্টিনা থেকে এর দেখা মিলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞানীদের মতে সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী যখন একটি সরলরেখায় আসে তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। অর্থাৎ ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ে না, যাকে সূর্যগ্রহণ বলে।
চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে এর দূরত্বও পরিবর্তিত হয়। কখনো চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে আবার কখনো দূরে। চাঁদ যখন পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন বড় দেখায় এবং দূরে গেলে ছোট দেখায়। যদি সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে, তবে তার বড় আকারের কারণে এটি পৃথিবী থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে।
একই সময়ে যখন এটি অনেক দূরে থাকে তার ছোট আকারের কারণে এটি কেবল সূর্যের মাঝের অংশকে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়। যার কারণে সূর্যের ধার দেখা যায়, যা আকাশে আগুনের বলয় তৈরি করে। একে বলে রিং অব ফায়ার। আগুনের বলয়টি সম্পূর্ণ হতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত রিং অব ফায়ার কয়েক সেকেন্ড থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে দেখা যায়।
এদিকে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ধরা পড়ছে ছোট একটি গ্রহাণু। এটিকে বলা হচ্ছে ‘মিনি মুন’ বা পৃথিবীর ‘দ্বিতীয় চাঁদ’। এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে গ্রহাণুটি।
এদিকে দ্বিতীয় চাঁদের এই উপস্থিতি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোনো দেশ থেকে এই ‘মিনি মুন’ দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আকারে ছোট হওয়ায় এবং উজ্জ্বলতার অভাবের কারণে এটি খালি চোখে দৃশ্যমান হবে না। এমনকি দুরবিন বা হোম টেলিস্কোপ দিয়েও এটি দেখা যাবে না। মিনি মুনের একঝলক পেতে হলেও লাগবে পেশাদার সরঞ্জাম।