বয়স যতই হোক না কেন, তার সৌন্দর্য এখনও আগের মতই মুগ্ধতা ছড়ায় দর্শক মনে। তবে কিভাবে নিজেকে এত ফিট রেখেছেন তা আজও অজানা অনুরাগীদের। বলছি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের কথা।
১৯৯৮ সালে ফয়সাল আহসানকে বিয়ের পর এই দম্পতির সুন্দরভাবেই কেটে যায় এক যুগ। কিন্তু ১৩ বছরের মাথায় স্বামী ফয়জাল আহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার।শোনা যায়, ২০১১ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। এরপর আর বিয়ে করেননি জয়া। নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী। এরই মাঝে এই তারকা নিজের ভালোবাসার কথা সকলের সামনে প্রকাশ করলেন। এবার তিনি সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ্যেই জানালেন ভালোবাসার বার্তা।
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি যে ভিডিও প্রকাশ করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে- তার কোলে একটি বিড়াল আর ঘাড়ে একটি বিড়াল উঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও আবার পিঠ থেকে নেমে যাচ্ছে বিড়াল। তিনি বিড়ালের আদর খাচ্ছেন প্রাণভরে।
জয়ার পোষ্যপ্রেমের কথা কারোরই অজানা নয়। সেই প্রেমেরে ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘আমি মিউদের খুব ভালোবাসি।’
বাংলাদেশে থাকলে অভিনেত্রী একদমই ঘরের মেয়ে হয়ে যান। কখনও নিজের বাগান থেকে সবজি পেড়ে নিয়ে আসেন আবার কখনও বা পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটান। তার বাড়িতে রয়েছে তিনটা পোষ্য প্রাণী।
জয়া আহসান একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি কখনই কোনো ডায়েট মানেন না। ভাত খেতে ভালোবাসেন। তাই ভাত তার ডায়েট চার্ট থেকে বাদ যায়নি। মাঝেমধ্যেই জয়া পান্তা ভাতের প্রেমে পড়েন। শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ ও ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত পছন্দ। ত্বকের যত্নেও ঘরোয়া উপকরণকেই বেশি প্রাধান্য দেন।
স্বামী ফয়জলের সঙ্গে ডিভোর্সের পরও তার পদবীটি ব্যবহার করেন জয়া। যদিও অভিনেত্রী তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জয়া মাসউদ নামে। তবে মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিয়ের পর জয়া নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে অভিনেত্রী দুই বাংলাতে জয়া আহসান নামেই পরিচিত।