বিনোদন

সুগার ড্যাডি থাকলেও প্লাস্টিক সার্জারি সম্ভব নয়

মোহনা অনলাইন

বর্তমান সময়ের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন তমা মির্জা। ২০২২ সালে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে রায়হান রাফীর পরিচালনায় প্রথম অভিনয় করেন তিনি। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের গুঞ্জন। যদিও এই নায়িকার দাবি, রাফীর সঙ্গে তার প্রেম নেই। দুজনের মাঝে কেবল বন্ধুত্বটা ছিল।

রাফী ও তমাকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন চলছে অনেক দিন ধরেই। দেশের বাইরে দুজনে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন—এমনটিও শোনা গিয়েছিল। নিজেদের জীবনের স্পেশাল দিনগুলোতেও একে অন্যের পাশে উপস্থিত থেকেছেন। খুব শিগগিরিই রাফী-তমা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, ঘনিষ্ঠজনেরাও তেমনটাই জানতেন। তবে হঠাৎই ভেঙে গেছে দু’জনের সেই সম্পর্ক। নিজেদের ‘প্রেম’কে এখন কেবলই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন তমা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘গুজবের তো মা-বাপ নাই। আমাকে নিয়ে নানা গুজবই ছড়িয়েছে। কখনো শোনা গেছে, আমি প্লাস্টিক সার্জারি করেছি। কিছুদিন আলোচনা হয়েছে, পরিচালকের সঙ্গে প্রেম করছি। সেই পরিচালককে কারো সঙ্গে কাজ করতে দেই না। তার সব কাজ আমিই করি। আবার কখনো রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জড়িয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছে। এসবই গুজব।’

এরপর প্লাস্টিক সার্জারি প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, প্লাস্টিক সার্জারি আমাদের বাংলাদেশে হয় না। বাইরে যেসব দেশে হয় সেটা খুবই ব্যয়বহুল। একটা সার্জারিতে ৪০-৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। তারপর সেটা মেইনটেইন করতে হয় বছরের পর বছর। আমাদের নামের সাথে তো একটা ট্যাগ লাগায় দেয় ‘সুগার মামি’, ‘সুগার ড্যাডি’ এসব থাকলেও প্লাস্টিক সার্জারি করা সম্ভব হয় না।

এর আগে এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাফী জানান, তমার সঙ্গে তাকে নিয়ে যে গুঞ্জন শোনা যায়, সেটি আর নেই। তবে তাঁদের বন্ধুত্বটা আগের মতোই আছে। রাফীর ভাঙনের সেই ইঙ্গিতকে এবার পূর্ণতা দিলেন তমা। ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, শুধু প্রেমের সম্পর্ক নয়, ফাটল ধরেছে বন্ধুত্বেও। এ ছাড়া রাফীর সঙ্গে আর কাজ না করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেত্রী।

তমা মির্জা বলেন, ‘ভালোবাসা সরে গেলে বন্ধুত্ব থাকে? নাকি নতুন করে বন্ধুত্ব হতে পারে? সত্যিই আমার জানা নেই। বন্ধুত্ব শব্দটির পরিধি অনেক। বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা হতে পারে। কিন্তু সেই ভালোবাসায় টান পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বে ফেরত আসা যায় না। তার জন্য দুই পক্ষকেই মানসিকভাবে যথেষ্ট পরিণত হতে হয়। নিজেদেরও সময় দিতে হয়। আমি নিজেকে সময় দিচ্ছি। কে, কী বলল—পাত্তা দিচ্ছি না।’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button