আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিষয়ে তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
কাদের, নানক ও হারুন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান। তথ্য পেলেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট পর থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বিগত সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন আছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অস্ত্রহাতে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।’
পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
র্যাব নেতৃত্বস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। কেউ যদি কোনো তথ্য পান তাহলে র্যাবকে দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে। এদিকে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ওবায়দুল কাদেরকে যশোর ক্যান্টনমেন্টে রাখা হয়েছে।