অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য স্পেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে সম্পদ লুটপাট হয়ে গেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।’
গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, স্পেন নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কীভাবে সহায়তা করতে পারে। অধ্যাপক ড. ইউনূস স্পেনের এই প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ যেসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার করার চেষ্টা করছে, সেখানে আপনাদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাব।’
সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা খাত ও বাংলাদেশ রেলওয়ের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। অধ্যাপক ড. ইউনূস রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে বলেন, ‘স্পেন আমাদেরকে অনেকভাবে সহায়তা করতে পারে। তারা এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আমাদের পোশাক পণ্যের আমদানি বাড়াতে পারে।’
এ ছাড়া উন্নয়ন খাতে স্পেনের কিছু সহায়তা পেলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস জানান, প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি বর্তমানে স্পেনে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দেশটিকে প্রযুক্তি ও অপ্রযুক্তিগত উভয় খাতে আরও শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সাঞ্চেজের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্টিয়াগা।
২০২৫ সালের ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত স্পেনে অনুষ্ঠেয় উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য স্পেনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে স্পেনের রানি সোফিয়াকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে বলেন এবং বাংলাদেশে রানির বিভিন্ন সময়ে সফরে তাঁর সঙ্গে যেসব স্মৃতি রয়েছে তা স্মরণ করেন। তিনি রানিকে আবারও বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।