মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত, মাঝিমাল্লাসহ ৬ ট্রলার অপহরণ
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এসময় ৫০ জনের বেশি মাঝিমাল্লাসহ ৬টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।
গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নিহত ও আহত মাঝিমাল্লাসহ অপহৃত একটি ফিশিং ট্রলারকে ছেড়ে দিলে দুপুরের দিকে ট্রলারটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটে এসে পৌঁছায়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তাদের মধ্যে দুজন রফিক (৩০) ও রাজু (৪৫)। আহত জেলেরা শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এরপর ৬টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। সেখানে তার মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ তিন জনের মধ্যে একজন মারা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিলে টেকনাফ কোস্ট গার্ড মাঝিমাল্লা ও ট্রলারটি বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে নিয়ে আসে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের অদূরে সাগরে মিয়ানমার নৌবাহিনী গুলিবর্ষণ করে মাঝিমাল্লাসহ বাংলাদেশি ৬টি ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে যায়। নিহত ও আহত ১১ মাঝিমাল্লাসহ একটি ট্রলার ছেড়ে দিলেও অপর পাঁচটি ট্রলার রেখে দিয়েছে। এসব ট্রলারে ৪০ জনেরও বেশি মাঝিমাল্লা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।