গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের স্থল হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) গাজার উত্তর ভাগে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশু ও নারীসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
এদিকে, গাজার উত্তর অংশ থেকে লোকজনকে বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আশপাশের লোকজনকে উপত্যকার দক্ষিণে সরে যেতে বলা হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগেও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সে সময় বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে আবারও সংগঠিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে ওই অভিযান পরিচালিত হয়। এই হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিকসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা মেডিসিন স্যানস ফ্রন্টিয়ারের (এমএসএফ) কর্মীরা আটকা পড়েন।
হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন আহত হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে অস্বীকার করায় তাদের ওপর এই হামলা চালানো হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমানগুলো জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে বোমা হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করেছে।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানায়, হামলায় ৩০ জন লোক আহত হয়েছে এবং আরও ১৪ জন লোক ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হামাসের সশস্ত্র সংগঠন কাশেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে একটি বাড়িতে হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এই তথ্য ছাড়া বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
ওদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গতকাল শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজায় সংঘাতের কারণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিকের খাদ্য নিরাপত্তায় বিপর্যয়কর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, গত ১ অক্টোবরের পর থেকে সেখানে কোনো খাদ্য সাহায্য পৌঁছানো যায়নি।