প্রায় ১ বছর পর নিজের দেশে ফিরে আসাটা ছিল লিওনেল মেসির জন্য বিশেষ কিছু। আর তাই হয়তো সেটাকেই স্মরণীয় করে রাখলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে। দীর্ঘ দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নেমে ইতিহাস গড়লেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার জয়ে ফেরার ম্যাচে নিজে করেছেন তিনটি গোল। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুইটি। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাই কাপ্তানের রেটিং পয়েন্ট ১০ এ ১০।
লিওনেল মেসির এমন পারফেক্ট টেনের দিনে হয়েছে নতুন রেকর্ডও। ৬-০ গোলের এই জয়ে আর্জেন্টিনা নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছে। লিওনেল মেসির পাশাপাশি এই রেকর্ড গড়ার দিনে আর্জেন্টিনার স্কোরশিট ভারি করেছেন লাউতারো মার্তিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ এবং থিয়াগো আলমাদা। এদের মাঝে মার্তিনেজ এবং আলভারেজের গোলে অ্যাসিস্ট ছিল মেসির।
ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান এখন মেসির। ১৮৭২ সালে ফিফার হিসেবে প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছিল স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড। সেই থেকে ফুটবল দুনিয়া পার করেছে ১৫২ বছর। আর আজকের আর্জেন্টিনা-বলিভিয়া ম্যাচের মধ্য দিয়ে গোল অবদানের ক্ষেত্রে আগের সব রেকর্ড ছাড়ালেন মেসি। ক্যারিয়ারে তার গোল ৮৪৬ আর অ্যাসিস্ট ৩৭৭টি। সবমিলিয়ে ১ হাজার ২২৩ গোলে অবদান ছিল আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার। অফিসিয়াল ম্যাচের হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ।
৩ গোল আর ২ অ্যাসিস্ট করে ১৫ বছর আগের এক ঘটনা পুনরায় ফেরালেন লিওনেল মেসি। সবশেষ কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ও ২ অ্যাসিস্ট ছিল হোয়াকিন বোতেরোর। ২০০৯ সালে বলিভিয়ার এই তারকা এমন কিছু করেছিলেন আর্জেন্টিনারই বিপক্ষে।
তবে মেসির সবচেয়ে বড় রেকর্ড এসেছে তার হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে। ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিকের দেখা পাওয়া লিওনেল মেসি জাতীয় দলের জার্সিতে আজ পেয়েছেন নিজের ১০ম হ্যাটট্রিক। জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এখন মেসির। অবশ্য এতে ভাগীদার আছেন একজন। অবধারিতভাবেই সেই নামটা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রেকর্ডের দুই বরপুত্র এখন ভাগাভাগি করছেন জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।