আগামী বছর থেকে পুনরায় নবম ও দশম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে বিভাগ বিভাজন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) পুনরায় চালুকরণ সংক্রান্ত পত্রানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল। এখন তা আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিদ্ধান্তের আলোকে মাউশি তাদের ওয়েবসাইটে এ কথা জানিয়েছে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান একটি নির্দেশনা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠিয়েছেন।
গত বছরের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন থাকবে না বলে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা) ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বিভাজন অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যে শিখন কার্যক্রম শেষ করতে পারে।
জারি করা পরিপত্রে জানানো হয়েছিল, যেসব শিক্ষার্থী আগামী বছর নবম শ্রেণিতে উঠবে, তারা পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) পাবে। তারা আগের মতো নবম ও দশম মিলিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি শেষ করবে এবং সে অনুযায়ী ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।