দেশে ফেরার পথে থাকলেও দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। শেষ টেস্ট খেলতে আমেরিকা থেকে দেশের উদ্দেশে নির্ধারিত সময়ে রওনাও করেছিলেন সাকিব। তবে এরই মধ্যে তার দেশে ফেরা একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
এতে দেশের মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটারের। মিরপুর টেস্টে সাকিবের জন্য যে বিদায় মঞ্চ সাজানো হচ্ছিল সেই সেটের আদল এখন বদলে যাচ্ছে। সাকিব সম্ভবত তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট কানপুরে ভারতের বিপক্ষেই খেলে এসেছেন। দুবাই থেকেই তিনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাবেন। দেশের অনলাইন গণমাধ্যম ‘বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম’কে বৃহস্পতিবার সাকিব নিজেই এই তথ্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারটি বলেছেন, ‘দেশে ফেরার কথা ছিল… কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই…।’ সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কখন আসতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।’ যেটির মানে, দেশ থেকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না তার।
ক্রীড়া উপদেষ্টা কদিন আগেই বলেন, সাকিবের দেশে ফেরা ও পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় কোনো বাধা তিনি দেখেন না। দেশের ক্রিকেটের সেরা তারকাকে মাঠের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তাও তিনি দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার মিরপুর টেস্টের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াডে ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে রাখেন নির্বাচকরা। শেষ পর্যন্ত চিত্র বদলে গেল।
সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই মিরপুরে বিভিন্ন স্লোগান উঠেছে। স্টেডিয়ামের দেয়ালেও তার বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সাকিবের কুশপত্তলিকা দাহ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষের আজ বিসিবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা।
আগামী ২১ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম টেস্ট। আজ দেশে ফিরে আগামীকাল অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সাকিবের। জানা গেছে, সরকার ও বিসিবি থেকেই সাকিবকে দুবাইয়ে অবস্থান করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আইসিসি সভায় যোগ দিতে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ও এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এখন দুবাই আছেন।