আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে হয়ত নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ড. আসিফ নজরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে বলে জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরীখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হবে। অনেকগুলো বিষয় আছে। এটা আমার প্রাথমিক অনুমান।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। এরপর নতুন নির্বাচন কমিশন ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে এবং তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই চুক্তি ভারত মানলে তাদের শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। এই চুক্তি সঠিকভাবে মানলে তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।
ঢালাও মামলার বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় হতো গায়েবি মামলা। এগুলো পুলিশ করত। মামলাগুলো তৎকালীন বিরোধীদলের লোকদের বিরুদ্ধে হতো। এখন হচ্ছে ঢালাও মামলা। যারা পূর্বে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাই এই মামলা করছে। এই মামলাগুলোতে যাতে নিরাপরাধ লোক শাস্তি না পান সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে ড. নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি বড় হয়ে উঠেছে। জনপ্রত্যাশা তৈরি হলে নিষিদ্ধ করা হবে। তারা অতীতে কি কাজ করেছে তা সব গণমাধ্যমে এসেছে। দেশবাসী দেখেছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠিত হবে বলে জানান তিনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা পুরোটাই বাতিল করার প্রক্রিয়ায় আছি। মানুষ এই নামগুলোই শুনতে পারে না।
সাকিব আল হাসানের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাকিবের মতো জনপ্রিয় ক্রিকেটার বাংলাদেশে আর আসে নাই। কিন্তু যখন আন্দোলন চলে মানুষ মরছে সাকিব তখন পোস্ট দিলো সে কোথাও এনজয় করছে এমন।
তিনি বলেন, এয়ারপোর্টে গেলে প্রবাসীদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করা হতো আগে। আমার স্বপ্ন ছিল তাদের ভিআইপি সুবিধা দেবো। আমি উদ্যোগ নিয়েছি তাদের জন্য আলাদা একটা লাউঞ্জ হবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এটা হবে।
আসিফ তার বর্তমান অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘অতীত জীবন ছিল সহজ-সরল। আমি অন্যের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি দেখে মানুষ খুশি হতো। এখন ২৪ ঘণ্টা কাজ করি, তবুও মানুষকে খুশি করতে পারি না। এর জন্য আমার খারাপ লাগছে।’ তিনি বলেন, ‘পিএইচডি করতে গিয়ে তিনি একই রকম কঠোর পরিশ্রমী সময় পার করেছেন এবং তিনি যদি তার কাজ দিয়ে মানুষকে খুশি করতে পারেন তবে তিনি খুশি হবেন।’