রাজনীতি

খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৪ নভেম্বর

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান এ দিন ধার্য করেন।

আজ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সকালে বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কাশেম, সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আহমদ হাক্কানী, বাংলা গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে কাশেম শরীফ, মীর মইনুল হক ও কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button